চাকরিপ্রার্থীরা যেভাবে চাকরির জন্য সিভি (CV) উপস্থাপন করবে
অল্প সময়ে বেশি কাজ করে কীভাবে সর্বোচ্চ আউটপুট অর্জন করা যায়, সে চেষ্টা এখন সবাই করে। এটা বাজার অর্থনীতির যুগ। সবকিছুই এখন পণ্য হিসেবে বিবেচিত। তাই চাকরির বাজারে এসে আপনি যদি নিজেকে উপযুক্ত ও আকর্ষণীয় পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে না পারেন, তাহলে পিছিয়ে পড়বেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আপনাকেও নিজের বিজ্ঞাপনে নামতে হবে। এ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর সিভিই হবে তার বিজ্ঞাপন। সুতরাং আপনার সিভিটিকে চাকরির স্বার্থেই একটি আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন পরিণত করুন। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিয়োগদাতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করুন এবং আপনার প্রতি তাদের আগ্রহী করে তুলুন। জানান দিন, তাদের প্রতিষ্ঠান যে রকম লোক খুঁজছে আপনি ঠিক সে রকম। আপনাকে নিয়োগ দিলেই তারা সবচেয়ে ভালো সেবা পাবেন এবং লাভবান হবেন।
এটা ভাবা ভুল যে, CV আপনার অতীত ইতিহাস বা ব্যক্তিগত বিবৃতি অথবা ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির মতো কিছু। নিঃসন্দেহে সিভি বেশিরভাগ তথ্যই ফোকাস করবে চাকরিপ্রার্থীর পেশাগত ইতিহাসের ওপর। আপনি সেভাবেই CV তৈরি করুন। আপনার উদ্দেশ্য হবে, সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকতে নিয়োগদাতাকে দ্বিধামুক্ত করা। যদি সেই লক্ষ্য নিয়ে CV লেখার চেষ্টা করেন তাহলে শেষ ফলাফল অবশ্যই ভালো হবে। সিভি যেন চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাগত অর্জন ও চাকরির ক্যাটালগ না হয়ে একটা ‘সেলস প্রসপেক্টাস’ হয় সেদিকে মনোযোগ দিন। মনে রাখবেন, একটি শক্তিশালী CV হতে পারে কাঙ্ক্ষিত চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার টিকিট।
একটি নির্ভুল, সুসজ্জিত, সামঞ্জস্যপূর্ণ রেজুমে বা CV সাক্ষাৎকারে ডাক পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এটা ঠিক যে, সাক্ষাৎকারে আপনার যাবতীয় শিক্ষাগত অর্জন, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাগুলো সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত বলার সুযোগ পাবেন। কিন্তু সিভি আগে এটা নির্ধারণ করে যে, আপনি আদৌ সে সুযোগ পাবেন কি না। অর্থাৎ সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে মনোনীত করা হবে কি না।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন ‘বায়োডাটা’ শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হতো। এখন বায়োডাটা শব্দটির পরিবর্তে আরো দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়। একটি রেজুমে (Resume), আরেকটি সিভি (CV) বা কারিকুলাম ভিটে (Curriculum vitae)। বায়োডাটার পরিবর্তে রেজুমে শব্দটি প্রয়োগ করা হলেও কারিকুলাম ভিটে কিন্তু প্রায়োগিক অর্থে রেজুমে বা বায়োডাটা নয়। যদিও CV এবং রেজুমে শব্দ দুটি প্রায় একই অর্থ বহন করে। তাহলে রেজুমে কী? পুঁথিগত বিদ্যা বলছে- A resume tells about an applicant in terms of strength and therefore developing a resume is very important for desired purpose. অর্থাৎ চাকরিপ্রার্থীর উদ্দেশ্য পূরণে রেজুমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ চাকরিপ্রার্থীর পেশা সম্পর্কিত ভাবনা, লক্ষ্য এবং তার সামর্থ্য চাকরিদাতাকে জানিয়ে দেওয়াই রেজুমের উদ্দেশ্য।
সিভির ক্ষেত্রেও কথাটি প্রযোজ্য। যদিও CV 'র আধুনিক অর্থ ব্যক্তিগত পরিচয় ও গুণসংক্রান্ত তথ্যাবলী। দুটোই নিয়োগদাতার কাছে চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। কিন্তু বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী সিভিতে কেবল ব্যক্তিগত পরিচয়টুকুই উপস্থাপন করেন। অনেকেরই ধারণা সিভিতে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক পরিচয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্যটুকু উপস্থাপন করাই যথেষ্ট। নিজ গুণ ও দক্ষতা এবং কর্মক্ষেত্রের অর্জন অনেকেই উপস্থাপন করেন না বা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। অথচ নিয়োগদাতা চাকরিপ্রার্থীর প্রায়োগিক গুণ, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা—এ বিষয়গুলোই জানতে চান। এবার চলুন বায়োডাটা বা রেজুমে এবং কারিকুলাম ভিটের পার্থক্য বিষয়ে আলোচনা করা যাক :
বায়োডাটা বা রেজুমে হলো তথ্যের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন। রেজুমেতে প্রধানত যোগ্যতা বা পেশাগত দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষায় মূল তথ্যটুকুই এখানে উল্লেখ থাকে। এ কারণে রেজুমে সাধারণত এক থেকে দুই পৃষ্ঠার বেশি বিস্তৃত করার প্রয়োজন হয় না। একটি আদর্শ রেজুমে এক পাতায় শেষ করা যেতে পারে।
অন্যদিকে CV হলো তথ্যের পূর্ণাঙ্গ এবং বিশদ উপস্থাপন। সিভিতে প্রধানত একাডেমিক এবং গবেষণাসংক্রান্ত অভিজ্ঞতার বিশদ বিবরণের বাইরেও প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য থাকে কারণ ল্যাটিন শব্দ ‘ভিটে’র আভিধানিক অর্থ জীবন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বায়োডাটা বা রেজুমের চেয়ে সিভি আয়তনে বড় হয়। কিছু ক্ষেত্রে CV ৫-১০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত হতে পারে।
বায়োডাটা বা রেজুমেতে কাঙ্ক্ষিত চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন বিষয়গুলো বাদ দিতে হয়। অথচ সিভিতে এমন অনেক অংশই থাকে যা বায়োডাটায় অপ্রাসঙ্গিক। যেমন প্রফেশনাল, ভোকেশনাল বা রিসার্চ অবজেকটিভ।
সাধারণত বায়োডাটা বা রেজুমের শেষের দিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ উল্লেখ করতে হয়। অবশ্য কেউ নতুন গ্র্যাজুয়েট বা অধ্যয়নরত হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার অংশ রেজুমের শুরুতে উল্লেখ করতে হবে। অন্যদিকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট এবং আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনা এবং পেশা সম্পর্কিত অন্যান্য কোর্সওয়ার্ক, শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় বিবরণ সিভির শুরুতে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।
অভিজ্ঞ চাকরিপ্রার্থীর বায়োডাটায় কাঙ্ক্ষিত পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাগত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ওপর জোর দিয়ে সংক্ষেপে মূল তথ্য উপস্থাপন করা উচিত। কিন্তু সিভিতে বৈজ্ঞানিক বা একাডেমিক ক্ষেত্রে গবেষণা বা প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা এবং তৎসংশ্লিষ্ট দক্ষতার উল্লেখ জরুরি। এই হলো রেজুমে এবং সিভির মোটামুটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য।
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা এবং গবেষণা সংশ্লিষ্ট পেশায় সিভি এবং অন্যান্য পেশায় রেজুমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোতে সব পেশাতেই সাধারণত CV ব্যবহৃত হয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। দেখা যায় একই ধরনের চাকরির জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সিভি, কোনো প্রতিষ্ঠান রেজুমে বা বায়োডাটা চায়। অর্থাৎ আমাদের এখানে CV এবং রেজুমের ব্যবহার আলাদা অর্থে প্রয়োগ হয় না। তবে এখন আমরা অনেকটাই সিভিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে CV-ই চাচ্ছে।
তাই বিভ্রান্তি এড়াতে এই বইয়ে আমরা মূলত সিভি সম্পর্কেই আলোচনা করব। পাশাপাশি সিভির বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে আলাদাভাবে সিভির নমুনাও থাকবে।
কিন্তু একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। রেজুমে বা সিভির ক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট শব্দটি প্রযোজ্য নয়। কারণ প্রতিনিয়ত এটি বদলাচ্ছে। অধুনা পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে বদলে যাচ্ছে রেজুমে বা সিভির ধরন।
সিভির প্রকারভেদ
সিভি কীভাবে নিয়োগদাতার মনোযোগ দ্রুত আকর্ষণ করবে এটি নির্ভর করে ফরম্যাটের ওপর। মনে রাখতে হবে, নিয়োগদাতাকে অগণিত CV উল্টিয়ে দেখতে হয়। তার হাতে এজন্য ৭-১০ সেকেন্ডের বেশি সময় থাকে না। সিভির জন্য এমন ফরম্যাট বেছে নিতে হবে যাতে নিয়োদগাতা একবার চোখ বুলিয়েই আপনাকে যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে শনাক্ত করতে পারেন। পেশার ধরন, প্রার্থীর দক্ষতা ও যোগ্যতার গুণগত এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে সিভির ফরম্যাট বিভিন্ন রকম হয়। তবে উপস্থাপন কাঠামো অনুসারে সিভির ফরম্যাট প্রধানত তিন ধরনের। এক ক্রনোলজিক্যাল, দুই ফাংশনাল এবং তিন কম্বাইন্ড।
ক্রনোলজিক্যাল সিভি
গ্রিক ‘chrono’ অর্থ কাল বা সময়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ক্রনোলজিক্যাল সিভিতে প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য কালানুক্রমিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। তবে এ ধরনের ফরম্যাটে সর্বশেষ অর্জনকে প্রথমে উপস্থাপন করতে হয়। ক্রনোলজিক্যাল CV চিরাচরিত ফরম্যাটের সিভি। অভিজ্ঞতার অংশটি এখানে প্রথমে উপস্থাপন করতে হয়। অর্থাৎ সর্বশেষ চাকরি বা অভিজ্ঞতার বিবরণ প্রথমে দিতে হয়। সুনির্দিষ্ট দক্ষতার বিবরণ এতে থাকে না। একটি ক্রনোলজিক্যাল সিভির অনেকগুলো অংশ থাকে। যেমন কন্ট্যাক্ট ইনফরমেশন, অবজেকটিভ, ওয়ার্ক অর জব এক্সপেরিয়েন্স, এডুকেশন।
ক্রনোলজিক্যাল ফরম্যাটের সিভি কখন উপযোগী?
১. একই ধরনের পেশায় বহুদিন কর্মরত ছিলেন এবং এই পেশায় আপনার কোনো কর্ম বিরতি নেই।
২. একই পেশায় ক্রমান্বয়ে উন্নতি করেছেন এবং আপনার পদবিগত অবস্থানও এগিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আপনি তা-ই চান।
৩. ছাত্রজীবনেই একটি সুনির্দিষ্ট সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা ছিল এবং প্রস্তুতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রফেশনাল ডিগ্রি বা কোর্স করেছেন বা করছেন।
৪. সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠানে ছিলেন সেটি সুখ্যাত এবং সর্বজনস্বীকৃত। সেখানে আপনার এমন কিছু অভিজ্ঞতা বা অর্জন রয়েছে যা উল্লেখ করার মতো।
৫. যে প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার গড়তে চাইছেন সেই প্রতিষ্ঠান এ ফরম্যাটের CV চায়।
যেহেতু এখানে সর্বশেষ পেশাগত অবস্থান, প্রতিষ্ঠান পালনকৃত দায়িত্ব এবং দায়িত্বকালে অভিজ্ঞতার অংশ প্রথমেই চলে আসে, সেহেতু নিয়োগদাতারা সাধারণত এ ফরম্যাটের CV বেশি পছন্দ করেন। কারণ এতে প্রার্থীর সর্বশেষ পেশাগত অবস্থা সহজেই বোঝা যায়। এ ফরম্যাটের একটি অসুবিধা হলো, আপনি সবচেয়ে ভালো কী করতে পারেন, সে বিষয়টি হাইলাইট করা বেশ কষ্টসাধ্য।
ফাংশনাল সিভি
সিভির ফাংশনাল ফরম্যাটে প্রার্থীর দক্ষতা, পেশাদারি বৈশিষ্ট্য এবং সফলতাগুলো ফোকাস করা হয়। যদিও এগুলো কখন কোথায় বিকশিত বা অর্জিত হয়েছে তা গুরুত্ববপূর্ণ নয়। তাই দক্ষতা ও সাফল্য এখানে সিভির প্রথমে চলে আসে। ফাংশনাল ফরম্যাটের সিভিতে পর্যায়ক্রমে যেসব অংশ থাকে সেগুলো হলো—কন্ট্যাক্ট ইনফরমেশন, অবজেকটিভ, স্কিলস, জব হিস্ট্রি বা প্রফেশনাল হিস্ট্রি, এডুকেশন।
ফাংশনাল ফরম্যাটের সিভি কখন উপযোগী?
১. পেশা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন।
২. পেশা বিরতি আছে এবং পুনরায় চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন।
৩. সদ্য পড়াশোনা শেষ করে পেশাজীবনে প্রবেশ করলেন।
৪. সর্বশেষ পেশাগত অবস্থান উল্লেখযোগ্য নয়।
৫. কোনো নির্দিষ্ট পেশাভিত্তিক ধারাক্রম দাঁড় করাতে পারছেন না।
৬. এমন কিছু দক্ষতা আছে, যা বহু ধরনের পেশার ক্ষেত্রে উপযোগী।
৭. কোনো স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন এখন বাণিজ্যিক বা পেশাদার প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে চাচ্ছেন এবং আপনার স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড এই চাকরি বা পেশার সাথে মেলে।
এ ফরম্যাটের CV সাধারণভাবে সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। বেশিরভাগ রক্ষণশীল নিয়োগকর্তারা এ ধরনের ফরম্যাট পছন্দ না করলেও এখন অনেকের কাছেই তা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। কারণ অনেক নিয়োগকর্তা দেখতে চান আপনার দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস কতটুকু আছে। এ ফরম্যাটের সুবিধা হলো, আপনার অতীত কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে উল্লেখ করা প্রয়োজন হলেও তার বিস্তারিত বিবরণ দরকার হয় না, এমনকি অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করলেও চলে। আপনি কী করেছেন তার চেয়ে আপনি প্রতিষ্ঠানের জন্য কী করতে পারবেন তা টার্গেটেড সিভি : একটি নির্দিষ্ট অবজেকটিভ, নির্দিষ্ট পেশা এবং নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টার্গেটেড বা উদ্দেশ্যমূলক CV ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী জব অবজেকটিভের জায়গায় নির্দিষ্ট জব টাইটেল লিখতে হয় এবং নির্দিষ্ট চাকরির চাহিদা ও নির্দেশ অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অতীত পেশার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে হয়। যখন কোনো সরকারি চাকরির আবেদন করবেন তখন অবশ্যই টার্গেটেড CV তৈরি করতে হবে। সিভির মৌলিক ফরম্যাট অনুসারেই টার্গেটেড CV তৈরি করা যায়।
ইনভেন্টরি সিভি
একটি সাধারণ জব অবজেকটিভ থাকলেও কোনো নির্দিষ্ট জব টাইটেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে না চাইলে এ ধরনের CV লিখতে হয়। যখন একই সিভি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য ব্যবহার করতে চাইবেন তখন ইনভেন্টরি CV তৈরি করতে পারেন। এই সিভির একটি সাধারণ জব অবজেকটিভ থাকে। যেমনঃ A management level position in sales. সাধারণভাবে কাছাকাছি ধারার সকল চাকরিতে যাতে একই তথ্য ব্যবহার করা যায় সে অনুসারে ইনভেন্টরি সিভিতে যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা লিখতে হয়।