হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায়
এককালে মানুষের স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত মৃত্যু খুব কমই হত। অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু ঘটত হয় প্লেগ, কলেরা, বসন্ত, টাইফয়েড প্রভৃতি মহামারীতে অথবা য্ক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, এইডস প্রভৃতি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধিতে। জীবাণুতত্ত্বের আবিষ্কার হবার ফলে মানুষ আজ নানা ধরনের ব্যাধির মূল কারণ যেসব জীবাণু তাদের চিহ্নিত করতে শিখেছে; আর শুধু তাই নয়, এসব জীবাণুকে কাবু করার অমোঘ অস্ত্র হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন ওষুধ। তার ফলে প্লেগ আর বসন্ত রোগ আজ পরাভূত; যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি ব্যাধিও পৃথিবী থেকে পালাবার পথ খুঁজছে। উন্নত স্বাস্থ্যবিধি আবিষ্কারের ফলে গত এক শতকে দুনিয়া জোড়া মানুষের গড়পড়তা আয়ু বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ।
হৃদরোগ কি
করােনারি ধমনিতে কোলেস্টেরল জমে ব্লকেজের পরিমাণ বেড়ে শতভাগ হয়ে যায় এবং ধমনিপথে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে আসে তখন পর্যাপ্ত O2 সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহের অভাবে কার্ডিয়াক পেশিগুলাে অকার্যকর হয়ে কিংবা মরে গিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি করে তাকেই সাধারণ ভাষায় হার্ট অ্যাটাক (heart attack) বলে। হার্ট অ্যাটাকের অপর নাম মায়ােকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন বা এম আই (myocardial infarction-MI)। Myocardial অর্থ হৃদপেশি ও infarction অর্থ O2 এর অভাবে শ্বাসবন্ধ হয়ে যাওয়া। প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে তাকে স্ট্রোক (stroke) বলা হয়। স্ট্রোককে কখনাে কখনাে সেরিব্রোভাস্কুলার দুর্ঘটনা (cerebrovascular accidents) বলা হয়।
হৃদরোগের লক্ষণ
১। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ হলাে বুকে তীব্র ও অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হওয়া। এছাড়া প্রচুর ঘাম বা শীতল ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি সাধারণ লক্ষণ।
২। স্টার্নামের পেছনে হঠাৎ তীব্র ব্যথা; এই ব্যথা কখনাে কখনাে বুক, গলা, ঘাড়, ওপরের পেট, দুই হাত এবং পিঠেও চলে যেতে পারে। তবে সব সময় বুকে ব্যথা নাও হতে পারে। পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা অনেক সময় বাম বাহুতে এবং নারীদের দু'বাহুতে হতে পারে।
৩। শ্বাসকষ্ট (shortness of breath), বমি বমি ভাব (nausea) বা বমি (vomiting) হতে পারে, বুক ধড়ফড়ানি (palpitations), বদহজম ও মাথা ঝিমঝিম করা।
৪। দ্রুত বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, ঘুমে ব্যাঘাত এবং সেই সঙ্গে দুবর্লতা ও শ্বাসকষ্ট।
বর্তমান বিশ্বের মরণ ব্যাধি
কিন্তু মানুষের মৃত্যু কি তবু বন্ধ হয়েছে? না, তা হয়নি। অমোঘ জরাকে মানুষ আজো জয় করতে পারেনি। তবে জরাকে জয় করলেই যে মানুষ মৃত্যুকে জয় করতে পারবে কথাটা এমন না। জরা বা বার্ধক্য জয় করা বলতে মূলত অল্প বয়সে দেহে বৃদ্ধকালীন সময়ের ছাপ না পড়াকে বুঝায়। সমাজ ও জীবনযাত্রা পদ্ধতির নানা জটিলতা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশে ঘটছে নতুন নতুন ধরনের দূষণ, স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ঘটছে নানা নতুন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, দেহযন্ত্রের ওপর পড়ছে নতুন ধরনের তাড়না ও চাপ। এসবের ফলে সংক্রামক ব্যাধির জায়গায় আজ উন্নত দেশগুলোতে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে হৃদরোগ, ক্যানসার ও এইডস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে উন্নয়নশীল দেশেও এই ব্যাধিগুলো বেড়ে চলেছে। এসব ব্যাধিকে কী করে প্রতিরোধ করা যায়, কী করে এদের হাত থেকে মানুষের নিরাময়ের ব্যবস্থা করা যায় তা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সামনে আজ এক বড় সমস্যা।
আমেরিকার বিষফোঁড়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ মৃত্যুর এক নম্বর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হৃদরোগ; প্রতি বছর শুধু হৃদরোগে মৃত্যু ঘটছে প্রায় দশ লক্ষ লোকের। অন্য সব কারণ মিলিয়েও সে দেশে এত লোকের মৃত্যু হয় না। ফলে আমেরিকাকে বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। সেখানে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে গবেষণা চলছে। যদিও এখন পর্যন্ত এর সঠিক প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্রামহীন ইঞ্জিনের কথা
আসলে হৃৎপিণ্ড একটি আশ্চর্য যন্ত্র যা আমাদের দেহে জন্মের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আদৌ কোন বিশ্রাম না নিয়ে নিরন্তর রক্ত পাম্প করে যাচ্ছে। বিশ্বের এমন কোন বাস বা বিমান নেই যার ইঞ্জিন বিরামহীনভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু মানুষের হৃদপিণ্ড কোন ক্লান্তি ছাড়াই একনাগাড়ে রক্তকে সারা দেহে প্রবাহিত করে। সারা দেহের বিপাক ক্রিয়ার ফলে দূষিত রক্ত হৃৎপিণ্ড পাম্প করে পাঠায় ফুসফুসে; ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে বিশুদ্ধ হয়ে আসা রক্তকে আবার পাম্প করে পাঠায় সারা দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে - প্রায় আশি হাজার কিলোমিটার লম্বা শিরা-উপশিরার জালে। একজন পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ড গড়ে ২৬০০ মিলিয়ন বার পাম্প করে প্রতিটি নিলয় বা ভেন্ট্রিকল থেকে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন লিটার (বা দেড় লাখ টন) রক্ত বের করে দেয়।
হৃৎপিণ্ডের কাজ চালু রাখার জন্য তার নিজের পেশীর মধ্যেও আছে রক্তবহ ধমনী আর শিরা। কোন কারণে এসব ধমনীতে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে হৃৎপিণ্ডে বৈকল্য দেখা দেয়। এটার সংকোচন-প্রসারণ ঘটে যে ক্ষীণ বিদ্যুৎ সঞ্চালনের মাধ্যমে তাতে কোন ত্রুটি ঘটলেও এর স্পন্দন ব্যাহত হয়, তখন দেখা দেয় আরেক ধরনের বৈকল্য।
হৃদরোগের শুরুর কথা
সাধারণত চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর বা তার বেশি বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রেই হৃদরোগ বেশি হতে দেখা যায়। এই সময়ে নানা কারণে হৃৎপিণ্ডের ধমনী সংকুচিত হতে থাকে, ফলে হৃৎপেশীতে রক্তপ্রবাহ কমে আসে। কখনো কোন সংকুচিত ধমনীতে রক্তপিণ্ড জমে হঠাৎ রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়; তখন হৃৎপিণ্ডের সেই অংশের পেশীতে আক্ষেপ শুরু হয়। তার ফলে বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই অবস্থারই নাম ‘হার্ট অ্যাটাক’ কখনো এই ব্যথা বুকের মাঝখান থেকে ঘাড়ে বা বাঁ হাতে সঞ্চারিত হতে পারে। কখনো বা দম আটকে আসে, ঘাম বা দুর্বলতা দেখা দেয়। কখনো পেটেও ব্যথা হতে পারে।
আবার কখনো সঞ্চালন ব্যাহত হয় মস্তিষ্কের ধমনীতে; অথবা কোন দুর্বল ধমনী ছিঁড়ে গিয়ে চারপাশে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। তাতে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থাকে বলা হয় ‘স্ট্রোক’। মূলত ‘হার্ট অ্যাটাক’ আর ‘স্ট্রোক’ দুইই রক্তবহ নালীর অবক্ষয়ের ফল। হার্ট অ্যাটাক ঘটে করনারি ধমনিতে কোলেস্টেরল বা চর্বি জমে রক্তপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি করলে। এই করনারি ধমনির কাজ হলো হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেন সরবারাহ করা। এটা আমাদের জ্ঞানের বাইরে নয় যে অক্সিজেন ছাড়া আমাদের দেহেই কোন কোষই কাজ করতে পারে না। গাড়ির ইঞ্জিনের যেমন জ্বালানীর প্রয়োজন তেমনি আমাদের দেহের হৃৎপিণ্ডের জ্বালানী হলো অক্সিজেন। এই অবক্ষয় কেন ঘটে, কী কী কারণে ধমনী সংকুচিত হয়ে আসে এসব বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এ থেকে হৃদবৈকল্য ঠেকাবার জন্য নানা পরামর্শও তাঁরা উদ্ভাবন করেছেন। দেখা গিয়েছে পাঁচ বিষয়ে দৃষ্টি রাখলে হৃদবৈকল্যের সম্ভাবনা কমানো যায়।
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক এড়ানোর ৫ উপায়
(১) উচ্চ রক্তচাপঃ রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি রকম উঁচু হলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক দুইয়েরই সম্ভাবনা বাড়ে। মাঝে মাঝে রক্তচাপ পরীক্ষা করলেই উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে কি না সেটা জানা যায়। ওষুধের সাহায্যে আজকাল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ খুবই সহজ। হৃদযন্ত্রের সিস্টোল ও ডায়াস্টোল অবস্থায় ধমনিতে রক্তচাপ যথাক্রমে ১৪০ mm Hg এবং ৯০ mm Hg।
(২) কোলেস্টেরল মাত্রাঃ রক্তে কোলেস্টেরল নামে এক ধরনের তৈলাক্ত উপাদান রয়েছে যা ধমনীর ভেতরের গায়ে জমে ধমনী সংকোচন সম্ভাবনা বাড়ায়। সাধারণত প্রাণিজ চর্বিজাতীয় খাদ্য কম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। রক্ত জমাট বাধাজনিত রোগের জন্য অ্যান্টিপ্লেটলেট জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় তবে এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
(৩)ধূমপানঃ গবেষণার ফলে দেখা গিয়েছে ধূমপানের মাত্রার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। ধূমপান বর্জন করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে। পাশাপাশি অ্যালকোহল বা মদ্যপানও এর ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।
(৪) দেহে মেদবৃদ্ধিঃ যেসব ব্যক্তির দেহ মেদবহুল বা ওজন স্বাভাবিকের ওপরে তাদের সচরাচর উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল মাত্রা এবং সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী এবং যথাসম্ভব প্রাণিজ চর্বিবর্জিত সুষম খাদ্য খেলে দেহের মেদবাহুল্য বা ওজন কম থাকে। ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমানে কিটো ডায়েট অনেক জনপ্রিয়। ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
(৫) ব্যায়ামের অভাবঃ যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের তুলনায় যারা দৈহিক শ্রমহীন জীবনযাপন করেন তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি। সক্রিয় জীবন সুস্বাস্থ্যের অনুকূল। যাদের কাছে ব্যায়াম করাটা কষ্টসাধ্য মনে হয় তারা ঘরে কাজ, সকালে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা, পুকুর বা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা অথবা সাইকেল চালানোর মাধ্যমে দেহকে সক্রিয় রাখতে পারেন।
হৃদযন্ত্রের অবক্ষয়ের মূল কারণ
বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে আসলে হৃদরোগের মূল রয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা পদ্ধতিতে। শৈশবকাল থেকে থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন না করার ফলে দেহের রক্ত সংবহনতন্ত্রে যেসব ত্রুটি ক্রমে ক্রমে গড়ে উঠতে থাকে সেগুলো প্রৌঢ় বয়সে সংশোধন করা শক্ত। ধমনীর অকালবার্ধক্যের সূত্রপাত আসলে শৈশব ও কৈশোরে। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারে যেখানে ছেলেমেয়েদের খাওয়ানো হয় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি এবং অতিরিক্ত স্বাচ্ছন্দ্যের মোহে দেহচালনা বা শ্রমের কাজ থেকে দূরে রাখা হয় সাধারণত সেখানেই ঘটে হৃদরোগের সূত্রপাত। আপনার দৈহিক ক্যালরি চাহিদা নির্ভর করে দৈনিক কায়িক শ্রমের পরিমাণের উপর, আর্থিক অবস্থার উপর নয়।
আমাদের দেহের ধমনী আর শিরার মধ্যে আছে অসংখ্য ভালভ বা কপাট। এসব কপাটের সাহায্যে রক্ত শুধু একদিকে চলতে পারে, অন্যদিকে চলতে পারে না। এই কপাটের জন্যই পায়ের রক্ত মাধ্যাকর্ষণ ঠেলে ওপরে উঠতে পারে। আমরা যথন হাঁটি বা পেশী চালনা করি তখন রক্ত চলাচলে সহায়তা হয়। রক্ত ঠেলার কাজ কম করছে বলে হৃৎপিণ্ড তখন কিছুটা বিশ্রাম পায়। শৈশবকাল থেকেই নিয়মিত পেশীচালনা তাই সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য একান্ত প্রয়োজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি ডঃ পলডি হোয়াইট প্রায় নব্বই বছর সক্রিয়ভাবে বেঁচেছিলেন। তিনি কলকাতায় একজন ২৯ বছরের তরুণের হৃদরোগের বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলছেন, “আমি এই অল্প বয়সী তরুণের “হার্ট অ্যাটাক” হয়েছে শুনে তাকে দেখতে গেলাম। খাদ্যাভ্যাস সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করায় সে জানাল যে, সে নিরামিষভোজী। কিন্তু একটু ভাল করে খোঁজ নিয়ে বোঝা গেল তার খাবারে সব নিরামিষের ওপর প্রচুর ঘি ঢেলে দেয়া হয়। তরুণটি এক ধনী ব্যবসায়ীর ছেলে। আবহাওয়া উষ্ণ বলে সে কখনো ব্যায়ামের ধারে কাছে যায়নি। হাঁটতে কষ্ট হবে বলে সব সময় চলাফেরা করে সে তার বাবার এয়ার-কন্ডিশন করা গাড়িতে।
ডঃ হোয়াইট বলছেন, “ভারতের কৃষকদের কদাচিৎ হৃদরোগ হয়, কিন্তু ২৯ বছরের এই তরুণ কী করে হৃদরোগে আক্রান্ত হল তা তার কাহিনী শুনে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠল।