মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতিঃ যে ১১টি বিষয় জানা আবশ্যক

মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি এর আজকের পর্বে আমরা ১১টি টিপস শেয়ার করবো যা সবার ফলো করা উচিত।
মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি
ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি যে জিনিসটি যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আমাদেরকে এগিয়ে রাখে এবং অন্যদের সাথে পার্থ্যক তৈরিতে সাহায্য করে তা হলো এক্সাম স্ট্র্যাটেজি। বিগত পোস্টের পর সবার অনুরোধে আমি এখানে সংক্ষেপে পরীক্ষার হল সংক্রান্ত কিছু বিষয় বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। শুরু করা যাক -

১. কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার বাইরে অতিরিক্ত কোন জিনিসপত্র নিতে যাবেন না। যেমনঃ বিভিন্ন কালারের ফাইল (সাদা ব্যতীত), ঘড়ি, মোবাইল, ক্যালকুলেটর, পানির বোতল ইত্যাদি নিতে যাবেন না। শুধু কালো কালির একটা বলপেন নিয়ে যাবেন। পানি ও ঘড়ির ব্যবস্থা হলে থাকবে।

২. পরীক্ষা শুরুর আগেই পরিদর্শকের অনুমতি নিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসবেন। ডকুমেন্টসগুলো পরিদর্শকের কাছে জমা দিয়ে যেতে হয়। গতবছর কান, পোশাকের পকেট চেক করা হয়েছিল।

৩. হল রুমে প্রবেশের পর অন্যকোনো দিকে দৃষ্টি না দিয়ে নিজেকে শান্ত করুন। মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করবেন। ঘাবড়ে না গিয়ে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন, আর নিজেকে বলতে থাকুন, “আমি আমার সর্বোচ্চটাই দিবো ইনশাল্লাহ, আল্লাহ্‌ যা করেন ভালোর জন্যই করেন”। আর আশেপাশে কারো সাথে কথা না বলাই ভালো। পরীক্ষার শুরু এবং শেষ অবধি কারো সাথে কথা বলবেন না। 

৪. পরীক্ষার খাতা পাওয়ার পর পুরোটা আগে চেক করে নিন। সব প্রশ্নের ছাপ এসেছে কিনা, ভাঁজ আছে কিনা। প্রশ্নে ও ওএমআরে একটি অভিন্ন কোড থাকবে সেটি মিলিয়ে দেখবেন দুইটাই একই কোড কিনা। এবার ওএমআর ছিঁড়ে পরীক্ষা দেওয়া যাবে কাজেই সাবধানে ওএমআর আলাদা করবেন।

৫. এরপরে ধীরে সুস্থে প্রয়োজনীয় তথ্য ওএমআর শিটে পূরণ করুন। কোন ভুল হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক হল পরিদর্শককে জানান।

৬. এবার আসা যাক কীভাবে এমসিকিউ দাগাবেন। প্রথম পৃষ্ঠা থেকে ধীরে সুস্থে জানা প্রশ্নগুলো দাগিয়ে যান। অপশনগুলো ভালো করে খেয়াল করুন। কোন তাড়াহুড়ো করবেন না, একটি প্রশ্নঃ দুইবার করে পড়ুন; তারপর দাগান।

৭. এভাবে দাগানোর সময় যে প্রশ্নগুলো কনফিউজড মনে হবে সেগুলোর পাশে ছোট করে কলমের ফোঁটা দিয়ে পরের প্রশ্নে চলে যাবেন। এভাবে দাগানোর পরে শেষে কনফিউজডগুলো দাগাবেন।

৮. কনফিউজডগুলোর মধ্যে যেগুলো ৮০-৯০% শিওর সেগুলোর জন্য রিস্ক নিতে পারেন। আর একদমই পারেন না, সেগুলোর ক্ষেত্রে রিস্ক না নেওয়াই ভালো।

৯. পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ঘড়ির দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিটি এমসিকিউয়ের জন্য আপনি ৩৬ সেকেন্ড করে পাবেন। কোন প্রশ্নের জন্য ১ মিনিটের বেশি সময় নিবেন না।

১০. রাফ করার দরকার হলে এমসিকিউ বাদে অন্য ফাঁকা জায়গায় করবেন। অনেকে পরামর্শ দিয়ে থাকে দুইটা এডমিট নিয়ে গিয়ে একটাতে রাফ করবেন। এমন কাজ ভুলেও করবেন না। আর সাথে এইচএসসি এর রেজিস্ট্রেশন বা এডমিট কার্ডের মূলকপি নিয়ে যাবেন।

১১. এক্সাম শেষে কারো সাথে কথা না বলে এবং কারো কথায় কান না দিয়ে বাসায় ফিরুন, বিশ্রাম নিন। বাকিটুকু সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিন। আপনার চেষ্টা আপনি করেছেন।

সবার জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো। আমার জন্য দোয়া করবেন।

লেখকঃ Fatema Tuj Juhora Reshma
Rangamati Medical College
Batch: 2019-2020
শেয়ার
আজকের সেরা খবর গতকালের সেরা খবর