সংকরায়ণের ১০০% কার্যকরী সূত্র
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছো।
প্রথমেই বলতে হয় সংকরায়ণ বলতে তোমাদের মাথায় “সংকর” অর্থাৎ এমন কোন জিনিসের ছবি আসে যেটা দুই বা ততোধিক ভিন্ন বস্তু দিয়ে তৈরি। Biology-তে মেন্ডেলের সূত্রগুলো বেশ মজার কারণ সংকরণের মূল ব্যাসিকটা সেখানে নিহিত।
তাহলে, সহজ কথায় সংকরণ হলোঃ
“দুই বা ততোধিক বস্তু মিশ্রিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন বস্তু তৈরির একটা পদ্ধতি।”
সংকরণ শেখার পূর্বে কেন্দ্রীয় মৌল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। মনে রাখবে যদি তিনটা পরমাণুর নিয়ে কোন যৌগ গঠিত হয় তবে মাঝের মৌলটাই কেন্দ্রীয় পরমাণু। কিন্তু H2O এখানে কেন্দ্রীয় পরমাণুর কোনটা? দুই মৌলের ক্ষেত্রে সাধারণত যার জারণ সংখ্যা বেশি বা যোজনী বেশি তাকেই কেন্দ্রীয় পরমাণুর হিসেবে গণনা করা হয়।
সব সময় কেন্দ্রীয় মৌলের-ই সংকরায়ণ
নিম্নোক্ত সূত্রটি দিয়ে খুব সহজেই যেকোনো (জৈব যৌগ ও জটিল যৌগ ছাড়া) যৌগের সংকরায়ণ বের করতে পারবেঃ
X=1/2*(M+V-C+A)
এখানে,
X= সংকরিত অরবিটাল সংখ্যা
M= কেন্দ্রীয় মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন বা শেষ কক্ষপথে বিদ্যমান ইলেকট্রন সংখ্যা
V= কেন্দ্রীয় পরমাণুর সাথে যুক্ত একযোজী মৌলের সংখ্যা
C= ক্যাটায়নের চার্জ (যৌগে + এর সংখ্যা)
A= অ্যানায়নের চার্জ (যৌগে + এর সংখ্যা)
যদি X এর মান 2 হয় তবে সংকরায়ণ হবে sp আকৃতি হবে সরলরৈখিক
যদি X এর মান 3 হয় তবে সংকরায়ণ হবে sp2 আকৃতি হবে সমতলীয় ত্রিভুজাকার
যদি X এর মান 4 হয় তবে সংকরায়ণ হবে sp3 আকৃতি হবে চতুস্তলকীয়
যদি X এর মান 5 হয় তবে সংকরায়ণ হবে sp3d আকৃতি হবে ত্রিকোণাকার দ্বিপিরামিড
যদি X এর মান 6 হয় তবে সংকরায়ণ হবে sp3d2 আকৃতি হবে অষ্টতলকীয়
যদি X এর মান 7 হয় তবে সংকরায়ণ হবে sp3d3 আকৃতি হবে পঞ্চভুজীয় দ্বিপিরামিড
এই পর্যন্ত আমরা সবাই পারি; এমনকি যেকোনো যৌগ দিলেও তার সংকরায়ণ বের করে দিতে পারবো। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় ঝামেলাটা হবে যখন এমন যৌগ দিবে যার বের করা X এর মানের সাথে সঠিক সংকরণ মিলবে না। যেমনঃ N2O এর সংকরায়ণ এই সূত্রানুযায়ী নির্ণয় সম্ভব নয়। কারণ এখানে N দুইটা আছে আর দুইটা N এর দুই ধরণের যোজনী (3,5)। ফলে এখানে কেন্দ্রীয় পরমাণুর নির্ণয় সম্ভব না। আবার অনেক ক্ষেত্রে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় মৌল থাকলেও সংকরায়ণ নির্ণয় করা যায় না। যেমনঃ HCl[১]- [X=1/2*(M+V-C+A)] এই সূত্রানুযায়ী sp3 সংকরায়ণ ধারন করে কিন্তু আসলে এর আকার দেখলেই বুঝা যায় এটি সরলরৈখিক (H-Cl) ফলে এখান থেকে স্পষ্ট যে সকল যৌগের জন্য [X=1/2*(M+V-C+A)] এই সূত্র সমভাবে কার্যকর না। ফলে আমাদের এমন সূত্র দরকার যা ১০০% efficient. তাহলে চলো নতুন আরেকটা সূত্র শিখিঃ
X=lpe- + কেন্দ্রীয় মৌলের -bond
lpe- = lone pair electron বা মুক্তজোড় ইলেকট্রন (২টা e- = ১ জোড়া e-)
এখন তোমাদেরকে কিছু যৌগ দেই এগুলোর সংকরায়ণ বের করে নিচে কমেন্ট করে জানাও। সাথে বইয়ের সূত্র দিয়ে করেও দেখো হয় কিনা।
H2O
N2O
O2
Cl2-
ফুটনোটঃ ১. HCl এর হাইব্রিডাইজেশন বাস্তবে সম্ভব না, তবে ভর্তি পরীক্ষায় এই প্রশ্ন এসে থাকে। কারণ Cl এর 3s অরবিটাল অনেক কম শক্তিসম্পন্ন যা H এর 1s এর সাথে মিলে সংকর অরবিটাল তৈরি করতে পারে না। তবে Cl এর 3pz তা পারে।
thank you so much .
আর্টিকেল টি পড়ে বুঝতে সুবিধা হচ্ছে ।
ধন্যবাদ। আর কোন কোন বিষয়ে লেখা চান জানাবেন কি?